প্রথমে বন্ধুত্ব জমানো তারপর নেশার দ্রব্যে মাদক মেশানো, ময়দানে তুলকালাম

কলকাতা:   সবে সন্ধ্যা নেমেছে। শহীদ মিনারের কাছে হঠাৎ করেই গণ্ডগোল শোনা যায়। পথ চলতি এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। তারপর যে ব্যক্তি অভিযোগ করছিল,সেই ব্যক্তি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ' কেপমার 'বলে চিৎকার করতে থাকেন।। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর গল্পের পরিবর্তন হতে থাকে।

সুকান্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ২০২২এর অক্টোবর মাসে দুর্গা পুজোর কিছুদিন আগে রাজীব দত্ত নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। ১৫ দিনের পরিচয় তাদের,তাতেই গাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ওদের।সুকান্তর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রাজীব মিলে শেষ ২৭  অক্টোবর সুকান্তর বাড়িতে বসে মদের পার্টি করে। সুকান্তর দাবি, মদের সঙ্গে অন্য কিছু খাইয়ে তাদের বেহুঁশ করে বাড়ি থেকে মোবাইল টাকা,পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় রাজীব দত্ত। তারপর থেকে রাজীবকে আর খুঁজে পায়নি সুকান্ত।

আরও পড়ুন -  Malda News: প্রতিবেশীর কুপ্রস্তাবে না গৃহবধূর, চরম রাগে বাড়িতেই আক্রমণ, ক্ষতি হল বিস্তর

সুকান্তর কথা অনুযায়ি, ২৮  অক্টোবর ময়দান থানায় একটি ডাইরি করেছিল সে। কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছিল সুকান্তর বর্তমান ঠিকানা নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশনে। প্রশ্ন ওঠে, নরেন্দ্রপুর থানায় না গিয়ে সুকান্ত কেন ময়দান থানায় ডায়েরি করল? যদিও তার সাফাই, রবীন্দ্র সদন এলাকাতে সে যে অফিসে কাজ করে, সেখান থেকে পরিচিতির মাধ্যমে ময়দান থানায় বিষয়টি নিয়ে ডায়েরি করেছিল।  ডায়েরির কাগজ দেখে জানা গেল,সুকান্তর মোবাইল হারিয়ে গেছিল।সেই কারণে একটি ডায়েরি করেছিল থানায়।  সুকান্তর চিৎকারে রাজীবকে শহীদ মিনার অঞ্চলে কর্তব্যরত পুলিশ দাঁড় করিয়ে ,জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

জানা যায়, রাজীবের আসল নাম প্রসেনজিৎ চৌধুরী। আজকেও দলবল নিয়ে প্রসেনজিৎ ময়দান এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। এই প্রসেনজিৎ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে ইদানিংকালে একবার জেলও খেটেছে। আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে যে, দুজন দুজনের পূর্ব পরিচিত। তবে প্রসেনজিৎ সুকান্তর মালপত্র নিয়ে সত্যিই পালিয়ে গিয়েছিল।  পুলিশ ,সুকান্ত এবং প্রসেনজিৎকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে পুলিশ সূত্রে খবর ,প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেড়ানোর মতোই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

Shanku Santra

2023-03-14T06:06:03Z dg43tfdfdgfd