Maa Lakshmi: নির্জলা একাদশীতে উপবাস করা ও দান-পুণ্য করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই তিথিতে লক্ষ্মীকে তুষ্ট করার উপায় করলে সুফল পেতে পারেন। এই উপায়গুলি করলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন। এক এক করে সমস্ত সমস্যা দূর হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমনই কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে যা নির্জলা একাদশীতে করলে বিশেষ লাভ অর্জন করতে পারবেন। কোন কোন উপায়ের কথা বলা হচ্ছে জেনে নিন।
নির্জলা একাদশীতে অশ্বত্থ গাছের পুজো
নির্জলা একাদশীতে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে ধনদেবী প্রসন্ন হন। এই তিথিতে অশ্বত্থ গাছে দুধ মিশ্রিত জল নিবেদন করলে ও ধূপকাঠি-প্রদীপ দেখিয়ে অশ্বত্থ গাছের পুজো করা উচিত। এর ফলে ধন-ধান্যে বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি আপনার পরিবারে লক্ষ্মী বাস করে।
ধন লাভের উপায়
নির্জলা একাদশীতে লক্ষ্মীকে তুষ্ট করার জন্য কড়ি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। হলুদ কাপড়ে সাতটি কড়ি ও সাতটি গোটা হলুদ বেঁধে লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজোর পর সেই কাপড়টিকে টাকা-পয়সা রাখার স্থানে রেখে দিন। এর প্রভাবে অর্থ বৃদ্ধি হবে এবং লক্ষ্মী আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন।
নির্জলা একাদশীতে করুন এই মন্ত্র জপ
নির্জলা একাদশী তিথিতে সকালে উঠে দুই হাত জোড় করে এই মন্ত্রটি ৫ বার জপ করুন। মন্ত্রটি হল- করাগ্রে বসকতে লক্ষ্মী, করমধ্যে সরস্বতী, করমূলে তূ গোবিন্দ, প্রভাতে করমদর্শনম।
এই মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তি অবসাদমুক্ত হতে পারে। পাশাপাশি পরিবারে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
তুলসীর উপায়
তুলসী বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। এই তিথিতে তুলসীর পুজো করলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। নির্জলা একাদশীতে সকালে স্নান করার পর তুলসীর গাছে কাঁচা দুধ নিবেদন করুন। এই উপায়ে লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন।
জল দান করুন
নির্জলা একাদশীতে জল দান করাকে মহাদান মনে করা হয়। এ সময়ে অনেকে জলছত্র প্রতিষ্ঠা করান। এ ছাড়াও মন্দিরে শরবত বিতরণ করতে পারেন। এই উপায়ে করলে লক্ষ্মী ও বিষ্ণু প্রসন্ন হন এবং কোষ্ঠীতে উপস্থিত চন্দ্র দোষ দূর হয়।
নির্জলা একাদশীর অন্যান্য উপায়
১. এই তিথিতে মন্দিরে গিয়ে বিষ্ণুকে অন্ন ও চাল নিবেদন করুন। তার পর কোনও অসহায় ব্যক্তিকে অন্ন দান করে দিন। এর ফলে এক এক করে জীবনে সমস্ত দুর্যোগ কেটে যাবে।
২. বিষ্ণুর সঙ্গে তুলসীর পুজো করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। তুলসীকে লক্ষ্মীর স্বরূপ মনে করা হয়। নির্জলা একাদশীর সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালিয়ে তুলসীর আরতী করা উচিত। এর ফলে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
2023-05-26T03:03:13Z dg43tfdfdgfd